কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মাহমুদুল হাসান আজ শনিবার জানান, ঢাকার বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনার পরপরই তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। বিকেলে ঢাকায় মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের কুমিল্লার মুরাদনগরের বাঙ্গরা বাজার থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে, শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে মুরাদনগরের আকবপুর এলাকা থেকে সবির আহমেদ ও নাজিমউদ্দীন বাবুল নামে দুজনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরও একই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও মামলার বিবরণী অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে কড়ইবাড়ি গ্রামে মোবাইল চুরির ঘটনার সূত্রপাতে খলিলুর রহমানের স্ত্রী রুবি বেগম (৪০), মেয়ে লিজা আক্তার (১৮) এবং ছেলে রাসেল হোসেনকে (১৬) বাড়ি থেকে ধরে এনে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।