কুমিল্লার তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেনকে হত্যার ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখসহ সাত-আটজনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিহতের স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় এ মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
গত রোববার রাত আনুমানিক ৮টায় দাউদকান্দির গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে বোরকা পরিহিত তিন দুর্বৃত্ত জামাল হোসেনকে (৩৮) গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
জামাল তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের নওয়াগা গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।
এ সময় পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন, গৌরীপুর বাজারে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে যুবলীগ নেতা জামাল এশার নামাজ পড়তে পশ্চিম বাজার জামে মসজিদে যাচ্ছিলেন। এ সময় বোরকা পরা তিনজন দুর্বৃত্ত তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যান। বাজারের লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (গৌরীপুর) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ঢাকায় রেফার করেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার দিন তিতাস উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সদর কড়িকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মুরাদ বলেন, ‘ফেসবুকে জানতে পাই যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেনকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। আমি ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি দাবি জানাচ্ছি।’