চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় আহমেদ শরীফ ওরফে ছোট বুড়ো (৪৫) নামের এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রামদিয়া গ্রামের মাঝেরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত শরীফ রামদিয়া গ্রামের মৃত বিশারত আলীর ছেলে। এ সময় আরও ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্দুল আলিম (৪০), সেলিম (৫৫), সেলিমের ছেলে সোয়াইব (৩৩) ও পল্টু আহম্মেদ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রামদিয়া গ্রামের আনসার আলী ও ফরিদ জোয়ার্দ্দার গ্রুপের সঙ্গে একই গ্রামের পল্টু ও হালিম গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে রামদিয়া গ্রামের মাঝেরপাড়া এলাকায় সংঘর্ষ হয় রোববার। এ সময় পল্টু-হালিম গ্রুপের শরীফ ওরফে ছোট বুড়োকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহত আহমেদ শরীফের বেয়াই আওলাদ হোসেন বলেন, গত ১২ আগস্ট পল্টু-হালিম গ্রুপের সঙ্গে আনছার আলী গ্রুপের কয়েক দফায় হামলা-পাল্টা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে পল্টু-হালিম গ্রুপের লোকজন বাড়ি ছাড়া ছিল। এরই একপর্যায়ে রোববার সন্ধ্যায় আহম্মেদ শরীফ ওরফে ছোট বুড়োসহ কয়েক জনকে মাঝেরপাড়ার মসজিদের সামনে পেয়ে প্রতিপক্ষ আনসার জোয়ার্দ্দারের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শরীফ ওরফে ছোট বুড়োকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় পল্টু, আলিম, সেলিম ও সেলিমের ছেলে সোয়াইব আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহের একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, ‘থানাধীন রামদিয়া গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একপক্ষের একজন নিহত এবং তিন—চারজন আহত হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিপক্ষেরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।’