চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেণিপুর সীমান্ত দিয়ে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়। পরে বিজিবি তাঁদের জীবননগর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
জানা গেছে, মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) সুবেদার মো. মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেণিপুর বিওপি সীমান্ত মেইন পিলার ৬১/ ৭ এস থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের টহল দল পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে হস্তান্তর করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা তাঁদের নাম আবুল কাশেম, জিয়াউর ও আকাশ ফলিয়া বলে জানান।
এর মধ্যে আবুল কাশেম ১০-১২ বছর আগে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন এবং ভারতের কলকাতার বারাসাতে ট্যাক্সি চালাতেন বলে জানিয়েছেন। জিয়াউর জানান, দুই বছর আগে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন তিনি। ভারতের মুম্বাইয়ে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ করতেন। আর আকাশ গত ফেব্রুয়ারি মাসে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। ভারতের দমদম ক্যান্টনমেন্টে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন।
তাঁরা গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় দালালের মাধ্যমে বেণিপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় ভারতের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ তাঁদের ধাওয়া দিলে দৌড়ে নোনাগঞ্জ গ্রামের দিকে পালিয়ে যান। পরে বিএসএফ গ্রামের মধ্যে সকালে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘শুক্রবার দিবাগত রাতে বিজিবি তিনজনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা ইতিমধ্যে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের খবর পাঠিয়েছি। তারা রওনা হয়েছে। তারা এলে তাদের জিম্মায় তিনজনকে হস্তান্তর করা হবে।’