চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ঋণের টাকা দিতে না পারায় এক নারীকে (৪৭) বিআরডিবি (বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড) অফিসে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পুলিশ এলে তালা খুলে দেন বিআরডিবির মাঠ কর্মকর্তা আবেদা খাতুন।
ওই নারীর ছোট ছেলে কান্না করতে করতে বলেন, ‘আমার মা অফিস থেকে কিছু ঋণ নিয়েছিলেন। অভাবের কারণে মা টাকা দিতে পারেননি। আজ ১০ হাজার টাকা নিয়ে আমি আর মা এসেছিলাম। তবে তারা পুরো টাকার জন্য চাপ দেয়। আবেদা নামের একজন আমার মাকে অফিসে তালা লাগিয়ে আটকে রাখেন। আমি তাঁকে অনুরোধ করে বলেছিলাম, মাকে আটকে না রেখে আমাকে আটকে রাখার জন্য। তিনি শোনেননি।’
তালাবদ্ধ অফিসের ভেতর থেকে ওই নারী বলেন, ‘আমাকে আটকে রেখেছে। আমি টাকা দিয়ে দেব। তারা এখনই টাকা চাচ্ছে। টাকা দিতে না পারায় আমাকে আটকে রেখেছে।’
এ বিষয়ে বিআরডিবির মাঠ কর্মকর্তা আবেদা খাতুন বলেন, ‘তিনি ১৪ মাস আগে ৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। চার মাস আগে তাঁর ঋণের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাঁর কাছে টাকা চাইতে গেলে বলেন, ভাই হজে গেছে। একদিন বলেন, ভাবি মারা গেছে। এভাবে টালবাহানা করতেন। অফিস থেকে আমার বেতন বন্ধ করে দিয়েছে।’
আবেদা আরও বলেন, ‘আমি বাজার করতে গেছিলাম। বাজার শেষে নামাজ পরে ওষুধ কিনে আসলাম। লাইট বন্ধ ছিল না। কেউ তাঁর ঋণের দায়িত্ব নিচ্ছিল না। তাঁর জামাইয়ের কাছে ফোন করেছিলাম। তিনি ঋণের দায়িত্ব নেননি। মাত্র তাঁর ছেলের সঙ্গে কথা হলো। এরপর আমি এখানে আসলাম।’ এরপর তিনি গেটের তালা খুলে দেন।
জীবননগর বিআরডিবি কর্মকর্তা জামিল আখতার বলেন, ‘ফোনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি এখানে এসেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’