কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় এখন খাল-বিলে আগের মতো মাছ মেলে না। তার ওপরে এ বছর পানি দেরিতে এসেছে। তাই গত কয়েক বছরের তুলনায়ও এবার মাছ মিলছে কম, যে কারণে কমে গেছে মাছ ধরার ফাঁদ আন্তা বা চাঁইয়ের চাহিদা। যাঁরা বর্ষা মৌসুমে বিক্রির জন্য আন্তা বা চাঁই তৈরি করেছেন, এ বছর তাঁদের হতাশ হতে হয়েছে। বাজারে চাহিদা না থাকায় মাছ ধরার এসব ফাঁদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার সাহেবাবাদ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের নাল্লা ও দেবীদ্বার উপজেলার বুড়ির পাড় গ্রামের কয়েকজন ব্যবসায়ী মাছ ধরার আন্তা বিক্রির জন্য বাজারে এনেছেন। নিজেদের তৈরি ছোট, বড়, মাঝারি আকারের ফাঁদ নিয়ে এসেছেন তাঁরা। কিন্তু বাজারে এসব ফাঁদ কেনার ক্রেতা নেই বললেই চলে।
আন্তা কিনতে আসা উপজেলার নাইঘর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে কথা হলে বলেন, ‘ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় দেশীয় চিংড়ি, পুঁটি, খলিসা, কই, শিং, ট্যাংরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। তা ছাড়া এ বছর পানি দেরিতে আসায় আগের মতো মাছের আনাগোনা নেই। তার পরও আমি প্রতিবছরের মতো একটি আন্তা কিনেছি।’
আরেক বিক্রেতা সুলতান মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খালে-বিলে পানি ও মাছ না থাকায় বাজারে আন্তার চাহিদা এবং দাম দুটোই কম এখন। আগে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই হাট-বাজারগুলোতে আন্তা বেচা-কেনার ধুম পড়ে যেত। বাজারে আসা বেশির ভাগ মানুষই আমাদের কাছ থেকে মাছ ধরার এসব ফাঁদ কিনে নিয়ে যেত। এ বছর মাছ ধরার জন্য আন্তা কিনছে না মানুষ। বাজারে ক্রেতা না থাকায় এসব আন্তা নিয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে আমাদের।’