কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ব্যবসায়ী মো. মুসা (৩৫)। ব্যবসা করেন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। ব্যবসার কাজে কখনো বাসে, কখনো ট্রেনে যাতায়াত করেন তিনি। অনেক সময় বিনা টিকিটে ট্রেনে চেপে চট্টগ্রামে এসেছেন। বুঝতে পেরেছেন, বিনা টিকিটে ভ্রমণ করায় রেলওয়ে তাঁর কাছে অনেক টাকা পাওনা। মোটামুটি একটি হিসাব করে, সেই বিনা টিকিটে ভ্রমণের টাকা একসঙ্গে দিয়ে দিলেন তিনি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে আসেন মো. মুসা। তাঁর সঙ্গে আসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রও। চট্টগ্রাম স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম স্টেশনমাস্টার মো. মাইন উদ্দিন মামুন ব্যবসায়ী মুসাকে নিয়ে যান প্রধান বুকিং সহকারী মো. দেলোয়ারের কাছে। পরে মুসা প্রধান বুকিং সহকারীকে ভাড়া বাবদ সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে দেন।
প্ল্যাটফর্ম স্টেশনমাস্টার মো. মাইন উদ্দিন মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে নিয়ে আমার কাছে আসলে আমি প্রথমে স্টেশনমাস্টার জাফর ভাইয়ের কাছে নিয়ে যাই। জাফর ভাই প্রধান বুকিং সহকারীর কাছে নিয়ে যেতে বলেন। তারপর প্রধান বুকিং সহকারীকে তিনি ৩ হাজার ৫০০ টাকা দেন।’
প্রধান বুকিং সহকারী মো. দেলোয়ার বলেন, ‘তিনি আমার কাছে জানতে চান লাকসাম থেকে চট্টগ্রামে যাতায়াতের লোকাল ট্রেনের ভাড়া কত। ভাড়া বলার পর, হিসাব করে তিনি ৩ হাজার ৫০০ টাকা জমা দেন। এই ধরনের মানুষ আসলে খুবই কম। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই।’
স্টেশন থেকে চলে যাওয়ার সময় কথা হয় ব্যবসায়ী মুসার সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেনে অনেক দিন বিনা টিকিটে ভ্রমণ করেছি। রেলওয়ে আমার কাছে অনেক টাকা পাওনা। মারা যাওয়ার পর আল্লাহর কাছে হিসাব দিতে পারব না। তাই, হিসাব করে রেলওয়েকে প্রাপ্য পরিশোধ করেছি।’