নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় লুবনা আক্তার পপি (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্কুলছাত্রীর পরিবারের দাবি, জ্বিন তাকে মেরে ফেলেছে। পুলিশ বলছে, মৃতের গলায় দাগ রয়েছে, এটি ফাঁস দিয়ে মৃত্যু হতে পারে।
আজ রোববার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভা করালিয়া এলাকার এন্তাজ মিয়ার বাড়ি থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ থানা–পুলিশ। সে বসুরহাট আইডিয়াল স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী এবং ওই বাড়ির আবু নাছেরের মেয়ে।
মৃতের পরিবার ও স্থানীয়রা বলছে, রোববার ভোরে লুবনা আক্তার পপিকে বাড়ির করিডরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন তার মা ফেরদৌস আরা। পরে তিনি স্থানীয়দের জানান লুবনা আক্তারকে জ্বিন মেরে ফেলেছে। পরবর্তীতে দুপুরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে মরদেহটি দেখতে গেলে পরিবারের লোকজনের কথা–বার্তায় সন্দেহ হয়। পরে মরদেহ কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
থানা–পুলিশ বলছে, মরদেহের গলায় দাগ রয়েছে। গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে নানা রহস্যের কারণে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান বলেন, ‘রহস্যজনক এ মৃত্যুর সত্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’