চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও অর্থ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় উপাচার্যের পিএস খালেদ মিসবাহুল মোকর রবীন ও কর্মচারী আহমেদ হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ফোনালাপ ফাঁস সংক্রান্ত বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের প্রায় দুই সপ্তাহ পর এই ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান।
তিনি বলেন, ফোনালাপ ফাঁস সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযুক্ত দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্তের সঙ্গে আমরা এই ব্যবস্থা নিয়েছি। এর আগে তাদের শোকজ করা হয়। তারা শোকজের জবাব দিয়েছেন। তদন্তও চলছে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে প্রভাষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের পর অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত পাঁচটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। এর মধ্যে একটি ফোনালাপে প্রভাষক পদের এক প্রার্থীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পিএসকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলতে শোনা যায়। অপর একটিতে ফোনালাপে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর শীর্ষ ব্যক্তিদের ‘ম্যানেজ’ করতেই উপাচার্যের টাকার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী। এ ঘটনায় উপাচার্যের পিএসকে অপসারণ করে পূর্বের কর্মস্থলে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
পাশাপাশি গত ০৫ মার্চ এ ঘটনা তদন্তে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি কমিটিও গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে তদন্ত কমিটি গঠনের ১০ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার সদস্যদের চিঠি দেওয়া হয়।