কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আরকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) শীর্ষ কমান্ডারসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ক্যাম্প-৪ ও রাজাপালং মধুর ছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে আরসার একটি টর্চার সেলের সন্ধান পাওয়া যায়। যেখান থেকে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করা হয়।
আজ শুক্রবার দুপুরে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ওসমান ওরফে সালমান মুরুব্বী (৫০) আরসার শীর্ষ কমান্ডার। তিনি গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তিনি আরসার ওলামা বডি ও টর্চার সেলেরও প্রধান।
খন্দকার আল মঈন জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প-৪ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আরসার শীর্ষ কমান্ডার মো. ওসমান ওরফে সালমান মুরব্বীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ক্যাম্পের বাইরে গড়ে তোলা রাজাপালং ইউনিয়নের মধুরছড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন পাহাড়ে আরসার একটি গোপন টর্চার সেলের সন্ধান পায় র্যাব। সেখান থেকে টর্চার সেলের সদস্য মো. ইউনুসকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়।
এখান থেকে একটি পিস্তল, চারটি লম্বা বন্দুক ও দুইটি এলজিসহ বিপুল পরিমাণ টর্চার সেলের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয় বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির ও এর সংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকায় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরসাসহ বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ খুন, অপহরণ, ডাকাতি, মাদক, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এতে শরণার্থীশিবির ও স্থানীয় এলাকাবাসী সব সময় ভীত সন্ত্রস্ত থাকে।
ব্রিফিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসএম সাজ্জাদ হোসেন এবং সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) মো. আবু সালাম চৌধুরী।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসএম সাজ্জাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রেপ্তার আরসা সদস্যদের উখিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।