হোম > সারা দেশ > ফেনী

নদীতে বাঁধ দিয়ে ঘের

নুরুল আলম, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) 

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ফেনী নদীর পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ করে অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণ ও মাছের ঘের তৈরির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বাঁশখালী গ্রামের ফেনী নদীর পুবের অংশে পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে মাছ চাষের এই ঘের তৈরি করা হচ্ছে। এতে পশ্চিম বাঁশখালী গ্রামে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, মুহুরী বাজার থেকে প্রজেক্টের গেট পর্যন্ত সড়কের উত্তর অংশে ফেনী নদীর বিশাল অংশ দখল করে অসংখ্য ঘের খনন করা হয়। এতে ছোট হয়ে গেছে ফেনী নদী। দখলের কারণে জোরারগঞ্জ-আজমপুর খালের পানি যাওয়ার পথও সরু হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে এই খাল দিয়ে মিরসরাই উপজেলার পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি পানি বঙ্গোপসাগরে মেশে। এখন পানি প্রবাহের সেই পথ নদীদস্যুদের কারণে ভরাট হয়ে যাচ্ছে।

এই পথ ঘেঁষে উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বাঁশখালী গ্রামের অবস্থান। গ্রামটি ফেনী নদীর উপকূলে হওয়ায় বর্ষায় পানি প্রবাহের গতি বাড়লে এই গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর পানিতে ভাসে। এবার নতুন করে ঘের খননের ফলে আগামী বর্ষায় ওই সব পরিবার দীর্ঘ মেয়াদে পানিবন্দী হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন।  মৎস্য প্রকল্প নির্মাণ তদারকির কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার মো. শিমুল বলেন, ‘এটা সরকারি খাসজমি কি না, জানি না। তবে এখানে কামরুল ইসলামসহ আরও একজন মালিকের বিএস খতিয়ানভুক্ত জমি রয়েছে বলে শুনেছি। আমি প্রকল্পের বাঁধ নির্মাণে তদারক করছি। প্রতি চেইন (এক চেইনে ১০০ ফুট) ৮০ হাজার টাকা করে আমার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। মালিকেরা হলেন শিপন, মিরাজ, নিজাম, জাহেদ ও সাত্তার। তাঁরা বিস্তারিত বলতে পারবেন।’

শিমুল আরও বলেন, ঘের তৈরির কাজে নিয়োজিত শ্রমিক দিদারুল আলমসহ সাত-আটজন ৫০০ টাকা মজুরিতে চার দিন ধরে কাজ করছেন। প্রায় ছয় একরের এই ঘেরের কাজ চার দিনের মধ্যে শেষ হবে।

এলাকার প্রবীণ মৎস্যচাষি কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কে বা কারা আমার নাম প্রচার করেছেন জানি না। আমি এখানের কোনো মৎস্য প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত নই। আমার বিএস খতিয়ানভুক্ত জমিতে আমাকে না জানিয়ে স্থানীয় কিছু লোক মৎস্য প্রকল্প করছেন শুনে তাঁদের মধ্যে মিরাজকে জিজ্ঞাসা করি। সে আমাকে জানায়, আমার যেটুকু জমি তাঁদের প্রকল্পে পড়বে, ইজারা হিসেবে আমার অংশের টাকা দেবে। এর বেশি কিছু জানি না।’

এ বিষয়ে জানতে মিরাজকে ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ দৌলা বলেন, ‘এমনিতে বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবাহ বাড়লে আমাদের বাড়িঘরে পানি ঢোকে। ফেনী নদীতে পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে ঘের খনন করার কারণে দীর্ঘদিন পানিবন্দী হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছি।’

স্থানীয় হাছিনা বেগম বলেন, ‘আমাদের পরিবার নদীভাঙনের শিকার। বর্তমানে আমাদের বাড়ি যেখানে, এর অনেক পশ্চিমে ফেনী নদী ছিল। ভাঙনের কারণে সেটি এখন আমাদের বাড়ি পর্যন্ত এসে ঠেকেছে। বর্ষাকালে পানিতে আমাদের বাড়ি তলিয়ে যায়। অবৈধভাবে ঘের তৈরির কারণে আমরা আগামী বর্ষায় বাড়িতে থাকতে পারব কি না, জানি না।’

মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি সরেজমিনে তদন্ত করে দেখে আইনগত পদক্ষেপ নেব। সরকারি জমি এবং পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ করে কিছুই করতে দেওয়া হবে না।

ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবি চবির আধিপত্যবাদবিরোধী শিক্ষক ঐক্যের

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার ঘরে আগুন: মামলা হয়নি, নাশকতার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ মেলেনি

কর্ণফুলীতে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা, আটক ১০

রাউজানে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ৩ বসতঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

কুমিল্লায় একাধিক মামলার আসামি শামীম গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা

লক্ষ্মীপুরে মাটি খুঁড়ে মিলল চট্টগ্রামে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, যুবক গ্রেপ্তার

মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত

আনিসুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ

চট্টগ্রামে ভারতীয় হাইকমিশন ও মিডিয়া ভবনে নিরাপত্তা জোরদার