রাঙামাটিতে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কের পাশ ও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ লাইন। এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। অনেকে আবার নিরাপত্তার জন্য ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। তবে এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
শহরের ভেদভেদি যুব উন্নয়ন এলাকায় সড়কের পাশ ধসে যাওয়া বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে দুর্ভোগ। জেলার বরকল জুরাছড়ি বিলাইছড়ি উপজেলায় ৭২ ঘণ্টার অধিক সময় বিদ্যুৎ নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে পাহাড় ধসের ঝুঁকি বাড়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন মানুষ। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে অব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ আছে অনেকের।
রাঙামাটি বেতারকেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া জাকের হোসেন নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ‘আমাদের জোর করে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হচ্ছে। কিন্তু খাবার দেওয়া হচ্ছে না। পাউরুটি, কলা দিয়ে দায় ছাড়া হচ্ছে। এদিকে ঘরে ফেলা আসা গবাদিপশু চুরি হচ্ছে।’
এদিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় শহরের ১৯টি সরকারি প্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। দুর্যোগ মোকাবিলায় যৌথ সমন্বয়ে কাজ করছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মোশাররফ হোসেন খান বলেন, ‘আমার ক্ষতি কমাতে সব প্রস্তুতি রেখেছি। যেন প্রাণহানি না হয় সেদিকে জোর দিচ্ছি।’
এদিকে কর্ণফুলী নদীর পাহাড়ি ঢলে পানির স্রোত বাড়ায় সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে।
২০০৭ সালে ভয়াবহ পাহাড়ধসে চট্টগ্রামে ১২৭ জন মানুষ মারা যায়। এরপর থেকে প্রতি বছর পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটছেই। সর্বশেষ ২০১৭ সালে পাহাড় ধসে ১৬০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।