কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি মাদ্রাসায় হামলায় ছয়জন নিহতের ঘটনায় সন্দেহভাজন ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার ভোরে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ মুজিবুর রহমান নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছিল।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার খান অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আটকদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি। গতকাল শুক্রবার মধ্য রাতে নিহত মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।
গতকাল ভোর রাত ৪টার দিকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর এইচ-৫২ ব্লকে অবস্থিত 'দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ' মাদ্রাসায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে গুলি ও ধারালো দায়ের কোপে ছয়জন নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন হন।
নিহতরা হলেন- রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১২, ব্লক-জে-৫ এর বাসিন্দা হাফেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষক মো. ইদ্রীস (৩২), ক্যাম্প-৯ ব্লক-১৯ এর মৃত মুফতি হাবিবুল্লাহর ছেলে ইব্রাহীম হোসেন (২৪), ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এইচ-৫২ এর নুরুল ইসলামের ছেলে মাদ্রাসার ছাত্র আজিজুল হক (২২), একই ক্যাম্পের ভলান্টিয়ার আবুল হোসেনের ছেলে মো. আমীন (৩২)।
এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ‘এফডিএমএন’ ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এফ-২২ এর মোহাম্মদ নবীর ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক নুর আলম ওরফে হালিম (৪৫), এফডিএমএন ক্যাম্প-২৪ এর রহিম উল্লাহর ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক হামিদুল্লাহ (৫৫)।
অপর দিকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে নিহত রোহিঙ্গা শীর্ষ নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আরও এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করেছে ১৪ এপিবিএন পুলিশ। তবে তার পরিচয় এখনো নিশ্চিত করেনি পুলিশ। মুহিব্বুল্লাহ হত্যায় এর আগে আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় মোহাম্মদ ইলিয়াছ নামের এক রোহিঙ্গা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।