হোম > সারা দেশ > নোয়াখালী

দখল-দূষণে মৃত দুই খাল, বর্ষার আগে পুনরুদ্ধারের দাবি বেগমগঞ্জবাসীর

মিজানুর রহমান রিয়াদ, নোয়াখালী

চৌমুহনীর ঐতিহ্যবাহী দুটি খাল—চৌমুহনী-ছাতারপাইয়া ও তুলাতলী খাল—দীর্ঘদিন ধরে দখল ও দূষণের কবলে। পানির প্রবাহ না থাকায় খালগুলো ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী এলাকার ঐতিহ্যবাহী দুটি খাল—চৌমুহনী-ছাতারপাইয়া ও তুলাতলী—দীর্ঘদিন ধরে দখল ও দূষণের কবলে পড়ে কার্যত মৃত প্রায়। পানির প্রবাহ না থাকায় খালগুলো এখন গোচারণভূমি কিংবা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এতে বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা ও বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, আসন্ন বর্ষার আগেই খালগুলো দখলমুক্ত করে পুনর্খনন না করলে গত বছরের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দূর থেকে প্রথমে দেখে মনে হবে এটি কোনো গোচারণভূমি বা ফসলি জমি। আবার কোনো কোনো অংশ যেন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। দুপাশ ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং ছোট-বড় বিভিন্ন স্থাপনা। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি বহুতল ভবনও। চৌমুহনী-ছাতারপাইয়া খালের আটিয়াবাড়ী ব্রিজ থেকে চৌমুহনী বড় পোল পর্যন্ত এবং তুলাতলী খালের মদনমোহন স্কুল থেকে ছাতারপাইয়া পর্যন্ত বেশির ভাগ দখল হয়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চৌমুহনীর খালগুলোর প্রাকৃতিক নালা হিসেবে একসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। স্রোতধারায় চলতো নৌযান, মাছ পাওয়া যেত, আশপাশের জমিতে সেচ দেওয়া হতো খালের পানি দিয়ে। এখন সেই খালে পানি নেই, মাছ নেই আর বর্ষায় পানি নামার জায়গাও নেই।

চৌমুহনী দক্ষিণ বাজারের বাসিন্দা মামুনুর রশিদ বলেন, ‘বাজারের ভেতরে খালের অস্তিত্বই নেই। আবর্জনা ফেলে দখল করে স্থাপনা গড়া হয়েছে। ক্ষমতার পালাবদল হলেও কাউকে উচ্ছেদ করা হয়নি।’

একই অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল আলিমও। তিনি বলেন, ‘গত বছর বন্যায় আমার দোকানের পণ্যের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। পানি সরে যাওয়ার জায়গা না থাকায় কয়েক মাস ধরে জলাবদ্ধতা ছিল। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এবারও একই অবস্থা হবে।’

খাল দখলের কারণে পরিবেশ, কৃষিতেও প্রভাব পড়েছে। স্থানীয় কৃষক মমিন উল্যাহ বলেন, ‘খালে পানি না থাকায় ধান চাষে অসুবিধা হচ্ছে। দেশীয় মাছ তো প্রায় বিলুপ্তই হয়ে গেছে।’

চৌমুহনীর ঐতিহ্যবাহী দুটি খাল—চৌমুহনী-ছাতারপাইয়া ও তুলাতলী খাল—দীর্ঘদিন ধরে দখল ও দূষণের কবলে। পানির প্রবাহ না থাকায় খালগুলো ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, ‘দুটি খালের দখলদারদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেনবাগ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় খুব দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। উচ্ছেদের পর খালের দুপাশে রিটেইনিং ওয়াল, পেনচিং ও ওয়ার্কওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চৌমুহনী থেকে আটিয়াবাড়ি মাকার্সা মজিদের অংশটি বাজারের মধ্যে। এখানের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী প্রথমে খালের মধ্যে ময়লা ফেলে সেটি ভরাট করেন এবং পরে তাঁদের প্রতিষ্ঠান খালের দিকে বাড়াতে থাকেন বলে আমরা প্রমাণ পেয়েছি। তাই ৬৪ ফুট খাল বর্তমানে ৪০ ফুটে নেমে এসেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে আমরা উচ্ছেদের পাশাপাশি খালের দুই পাশে রিটেনিং ওয়াল, লোহার পেনচিং ও ওয়ার্কওয়ে করার পরিকল্পনা করছি, যাতে ভবিষ্যতে মানুষ ময়লা ফেলে দখল করতে না পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে বরাদ্দ পাওয়ার পর কাজ শুরু করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

কুমিল্লা-৪: হাসনাত আবদুল্লাহর সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন জামায়াত প্রার্থী

পটিয়ায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত, আহত ৪

সাতকানিয়ায় খালের পাড় কেটে মাটি বিক্রি

সাতকানিয়ায় বন্দুকসহ এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

চট্টগ্রামে গিয়াস কাদেরের আসনে গোলাম আকবরকেও মনোনয়ন বিএনপির

সুষ্ঠু নির্বাচনই যথেষ্ট নয়, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে হবে: বদিউল আলম

চট্টগ্রামে দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কার আরোহী যুবদল নেতা নিহত

হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ, দুর্ভোগ

দরপত্র ছাড়াই ভাড়া ২৪ শতাংশ জমি