কুমিল্লার লাকসামে এক কৃষকের গলায় রশি প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এনজিওর ঋণ শোধ করতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার।
আজ বুধবার ভোরে উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের কামড্ডা গ্রামে ওই কৃষকের শ্বশুরবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাসিমা বেগম (৩৫) বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি অপমৃত্যুর অভিযোগ দিয়েছেন।
ওই কৃষকের নাম ইসমাইল হোসেন (৪৭)। তিনি উপজেলার পার্শ্ববর্তী বাকই ইউনিয়নের কৈত্রা গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে।
পরিবার বলছে, কয়েক দিন আগে ইসমাইল হোসেন স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। কয়েকটি এনজিওর ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক চাপে ভুগছিলেন তিনি। প্রতিদিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার রাতে স্ত্রীসহ ঘুমিয়ে পড়েন। আজ ভোরে স্ত্রী নাছিমা বেগম স্বামীকে বিছানায় না দেখে খোঁজাখুঁজি করে রান্নাঘরের মেঝেতে গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে থানা-পুলিশকে খবর দেয়।
ওই কৃষকের স্ত্রী নাসিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্বামী কৃষিকাজ করে। বেশ কয়েকটি এনজিওর কাছে ঋণ নিয়েছিল। কৃষিকাজ করে আয় ভালো না হওয়ায় ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি তিনি। এর পর থেকেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছিল। পরে কয়েক দিনের জন্য আমার বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসি আমরা।’
নাসিমা আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে খাওয়াদাওয়া শেষে দুজন ঘুমাতে যাই। সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি রান্না ঘরের আড়ার সাথে নাইলনের রশিতে উনি গলায় ফাঁস দিছিল। পরে রশি ছিঁড়ে মেঝেতে পড়ে যায়।’
এ বিষয়ে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। সুরতহাল তৈরি করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।