হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

ঋণখেলাপি মামলা: ইউনিটেক্সের ১৩,৭৩২ শতক সম্পত্তি হস্তান্তর না করার আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

প্রতীকী ছবি

ঋণখেলাপির দায়ে চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ইউনিটেক্স গ্রুপের ১৩ হাজার ৭৩২ শতক সম্পত্তি হস্তান্তর না করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ইসলামী ব্যাংকের করা মামলায় চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালত-১–এর বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন আজ সোমবার এই আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. এরশাদ জানান, ৭৩২ কোটি খেলাপি ঋণ আদায়ে ইউনিটেক্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে গত ৩ জুন অর্থঋণ মামলা করে ইসলামী ব্যাংক পাহাড়তলী শাখা। ঋণের টাকা উদ্ধারে ঝুঁকি থাকায় ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ইউনিটেক্স গ্রুপের সম্পত্তি হস্তান্তর না করার আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক, শেয়ারহোল্ডার ও সুবিধাভোগীদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর আদেশ দেন আদালত।

আদালত ও ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে ইসলামী ব্যাংক পাহাড়তলী শাখা থেকে ইউনিটেক্স স্টিলের নামে ঋণ নেয় ইউনিটেক্স গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির কাছে ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান পাওনা দাঁড়িয়েছে ৭৩১ কোটি ৬৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। চট্টগ্রামভিত্তিক ইউনিটেক্স গ্রুপের মূল কর্ণধার মোহাম্মদ হানিফ চৌধুরী ও তাঁর ছেলে বেলাল আহমেদ।

ইসলামী ব্যাংক পাহাড়তলী শাখার ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান সরকার বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে গ্রুপটির কর্ণধারেরা গা ঢাকা দিয়েছেন। বারবার তাগাদা দেওয়ার পর ব্যাংকের পাওনা পরিশোধেও এগিয়ে আসছেন না। এত বড় ঋণের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির মাত্র ১ হাজার ৮৮০ শতক জমি বন্ধক ছিল ব্যাংকের কাছে। ফলে ঋণ আদায়ে ঝুঁকি থাকায় গ্রুপটির ঢাকা-চট্টগাম-কক্সবাজারের মোট ১৩ হাজার ৭৩২ শতক সম্পত্তি অ্যাটাচমেন্টের আবেদন করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আজ এই আদেশ দেন।

কারণ দর্শানোর নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন ইউনিটেক্স স্টিলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ কায়সার, পরিচালক বেলাল আহমেদ (এস আলমের জামাতা), পরিচালক মাইমুনা খানম (এস আলমের মেয়ে), পরিচালক মো. মোহাইমিনুল ইসলাম চৌধুরী, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম মাসুদ, ছেলে এহসানুল আলম ও চার সহোদর আব্দুস সামাদ, মো. আব্দুল্লাহ হাসান, ওসমান গনি ও রাশেদুল আলম।

এর আগে গত ৪ মে ‘ইসলামী ব্যাংকে লুট, এস আলমের জামাতার পেটে ৩৭৪৫ কোটি টাকা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক আজকের পত্রিকা।

যেখানে উল্লেখ করা হয়, ৮১৪ কোটি টাকা ঋণ নিলেও ইউনিটেক্স স্টিল এখনো একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির নামে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ১ হাজার ৮৮০ শতক জমি কেনা হলেও সেখানে কোনো কারখানা গড়ে ওঠেনি। ঋণের বিপরীতে ওই জমিগুলোই বন্ধক দেওয়া হয়েছে ব্যাংকে, যা বিক্রি করে সর্বোচ্চ ২৮ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এ ছাড়া বন্ধক রাখা জমিগুলো কেনা হয়েছে ২০২২ সালে। অর্থাৎ কারখানা তৈরি ও জমি কেনার আগেই কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণ করেছে ইসলামী ব্যাংক।

পাহাড়তলী শাখা ছাড়া গ্রুপটির অন্য তিন প্রতিষ্ঠানের নামে ২ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের ওআর নিজাম রোড শাখা থেকে।

ইসলামী ব্যাংক ছাড়া রূপালী ব্যাংকের ৩২৬ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটির ৪৭ কোটি ও এক্সিম ব্যাংকের ৪০ কোটি মিলিয়ে গ্রুপটির ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা।

হাটহাজারীতে বৈঠকে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

চট্টগ্রামের আনোয়ারা: মেডিকেল বর্জ্য খালে, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

চট্টগ্রামে নির্বাচনী লড়াই: রক্তাক্ত রাউজানে গিয়াসই প্রার্থী

সীতাকুণ্ডে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ড্রেজার ও বাল্কহেড পুড়িয়ে দিল বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

দাবি পূরণে প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট হবে: ৮ দলের সমাবেশে জামায়াত আমির

কর্ণফুলীতে অস্ত্রসহ যুবক আটক

বাসার দরজা ভেঙে চবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

একমঞ্চে ৬১ চিকিৎসা গবেষণাপত্র উপস্থাপন

চবির শাটলে বসা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, শিক্ষার্থীকে মারধর

রাউজানে ৪টি ইটভাটার চিমনি গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন