নোয়াখালীর সেনবাগে মো. মহিন উদ্দিন নামে এক হোটেল ব্যবসায়ীকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডমুরুয়া ইউপির হরিণকাটা ফকিরবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন সোমবার সকালে রক্তাক্ত মহিন উদ্দিনকে উদ্ধার করে সেনবাগ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার স্বজনেরা হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছে।
খবর পেয়ে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাজিব ও সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি ঘটনাস্থলে যান। তারা হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছেন। দুপুর ২টার দিকে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্বৃত্তরা মহিন উদ্দিনকে ফোনে কল করে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এর পর তার শরীরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে বাড়ির সামনে রক্তাক্ত দেহটি ফেলে যায়। পুলিশ নিহতের মোবাইল সেটটি পার্শ্ববর্তী ডোবা থেকে উদ্ধার করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। অল্প সময়ের মধ্যে হত্যার ক্ল্যু উদ্ঘাটনে পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মহিন উদ্দিন চট্টগ্রামে হোটেল ব্যবসা করতেন। বছর খানেক আগে তার স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত থাকায় তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এ নিয়ে কিছু লোক একাধিক বার সালিস ব্যবস্থার আয়োজন করে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই সময় মহিন উদ্দিন তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। তখন স্বজনদের অনুরোধে মহিন উদ্দিন তাকে মেনে নেয়। দুইদিন আগে মহিন উদ্দিন চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে এলে দুর্বৃত্তরা ফোনে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। তার দুটি ছেলে ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কানন আজকের পত্রিকাকে বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারসহ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় লোকজন জানায়, স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্বামী মহিন উদ্দিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনা ঘটে। মোবাইলের কলরেকর্ড ধরে খুনিদের গ্রেপ্তার সহ ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।