ফেনীর দাগনভূঞায় শিক্ষকেরা অপমান করায় এক মাদ্রাসা ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফারজানা আক্তার (১৪) নামে ওই শিক্ষার্থী উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের আমুভূঞারহাট হাছানিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণিতে পড়ত। সে রাজাপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের মেয়ে।
খোঁজ জানা যায়, দুদিন ধরে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা বেলাল হোসেন ওই ছাত্রীকে তার অভিভাবককে নিয়ে আসার জন্য বলছিলেন। তার বাবা চাকরির সুবাদে ঢাকা ও মা অসুস্থ থাকায় কেউ যেতে পারেননি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় গেলে সুপার মাওলানা বেলাল হোসেন, সহকারী শিক্ষক মো. আলমগীর ও গিয়াস উদ্দিন মিঞা তাকে বকাঝকা করে ক্লাস থেকে বের করে দেন। তখনই সে বাড়ি চলে যায়। আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী আধুনিক জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে জানতে সহকারী শিক্ষক মো. আলমগীর ও গিয়াস উদ্দিন মিঞার মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে দুজনের নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়।
আমুভূঞারহাট হাছানিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা বেলাল হোসেন বলেন, ‘ছাত্রীর বিষয়ে কিছু অভিযোগ রয়েছে। সে জন্য তাকে তার অভিভাবককে নিয়ে আসার জন্য গত কয়েক দিন ধরে বলতেছি। কিন্তু কোনো অভিভাবকই আসে নাই। আজ ক্লাসে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে তার মাকে মাদ্রাসায় আসার জন্য বললে তিনি তাকে বকাঝকা করেন। পরে আমি ও সহকারী শিক্ষক মো. আলমগীর ও গিয়াস উদ্দিন মিঞা তাকে বলি অভিভাবক নিয়ে না আসা পর্যন্ত ক্লাস করার দরকার নেই। তখন সে বাড়ি চলে যায়। তাকে কোনো বকাঝকা করিনি।’
দাগনভূঞা থানার ওসি মো. হাসান ইমাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।