নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন জেলায় ২৩৬ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা এ যাবৎকালের জেলার সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে সংক্রমণ বেড়েছে কয়েক গুন, বেড়ে চলছে মৃত্যুও। নতুন শনাক্তের হার শতকরা ৩৩ দশমিক ৯৫ ভাগ।
যার মধ্যে নোয়াখালী কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ছয়জন
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার ও কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. নিরুপম দাশ করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল রোববার সকালে ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার তিনটি পিসিআর ল্যাবে ৬৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে সদরে ৮০ জন, সুবর্ণচর, সোনাইমুড়ী ও চাটখিলে সাতজন, হাতিয়ায় চারজন, বেগমগঞ্জে ৪৩ জন, সেনবাগে ২৪ জন, কোম্পানীগঞ্জে ৩৭ জন ও কবিরহাটে ২৭ জন রয়েছে।
জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭২২ জন। যার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৮৭০ জন রোগী। আইসোলেশনে রয়েছেন ৪ হাজার ৫৯৪ জন। শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৪ জন রোগী। জেলায় সংক্রমণের হার কমাতে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।
জানা গেছে, যতই লকডাউনের সময় বাড়ছে নোয়াখালীতে লকডাউন ততটাই ঢিলেঢালা হয়ে পড়ছে। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকলেও আগের তুলনায় কয়েক গুন যানবাহন বেড়েছে বিভিন্ন সড়কে। তবে পুলিশের তল্লাশিতে কিছুটা ফাঁকা রয়েছে পৌর এলাকার সড়কগুলো, তাতেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন এবং মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। হাঁট-বাজার, কাঁচা বাজারগুলোতে মানুষের উপস্থিতি লক্ষণীয়। স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বেশির ভাগ মানুষ।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোরশেদ আলম খান জানান, লকডাউন কার্যকর করতে ও জনগণকে স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে সচেতন করতে জেলার বিভিন্ন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৮৫টি মামলায় জরিমানা করা হয়েছে।