গ্রাহকের দুই কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে চট্টগ্রামে ইস্টার্ন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপকের ৫৪ বছর কারাদণ্ড ও এক কোটি ৭২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই মামলায় আরও চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে। আজ রোববার চট্টগ্রাম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন-ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড চান্দগাঁও শাখার সাবেক প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার ইফতেখারুল কবির। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিদের মধ্যে লাবীবা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেনের ১১ বছর কারাদণ্ড ও ৭৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, জুলেখা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আবদুল মাবুদ, মাহমুদুল হাসান ও আজম চৌধুরী প্রত্যেককে ছয় বছর ছয় মাস করে কারাদণ্ড ও বিভিন্ন অঙ্কের টাকা জরিমানা করা হয়।
দুদকের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ১৪ অক্টোবর দুর্নীতি দমন আইন ও দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০২১ সালে ২২ সেপ্টেম্বর ব্যাংক কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ২০২১ সালে ১ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিচারকাজ শুরু করে। মামলায় মোট ৩৮ জন সাক্ষী দেন। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজ বিচারক এই রায় দেন।
অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, ‘সালাউদ্দিন আহমেদ নামে এক গ্রাহক তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে দুই কোটি ৮৪ লাখ টাকার ১১টি এফডিএ খোলেন। এ সময় আসামি ইফতেখারুল কবির প্রতারণার মাধ্যমে সালাউদ্দিন আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে কয়েকটি চেকে স্বাক্ষর নেন। পরে আসামি অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় ওই সব চেকের মাধ্যমে ও অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার ফরমে জাল স্বাক্ষর করে গ্রাহকদের টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘রায়ের আগে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে তোলা হয়। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।’