নোয়াখালীর সদর উপজেলায় খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করে বাসা থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকাসহ স্বর্ণালংকার চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের অনিল ঠাকুরের বাড়ি এলাকায় পিনাকেশ্বর মুখার্জির বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
অজ্ঞান করার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে পিনাকেশ্বর মুখার্জির বাড়ির অসুস্থ তিন সদস্যকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী সদরের সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিনাকেশ্বর মুখার্জির বড় ছেলে প্রবীর মুখার্জি জানান, গতকাল সন্ধ্যায় তাঁদের অজান্তে বসতঘরসংলগ্ন রান্নাঘরের জানালার কাঠ ভেঙে খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় ওই খাবার খেয়ে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা ঘুমের মধ্যে অচেতন হয়ে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের আলমারি, ওয়ার্ডরোব লন্ডভন্ড অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা।
ঘরের ভেতরে থাকা সাড়ে ৭ লাখ টাকা, ছয় ভরি স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আজ সকালে অসুস্থ অবস্থায় পিনাকেশ্বর মুখার্জি, মা জোসনা মুখার্জি ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পিংকি চক্রবর্তীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান প্রবীর মুখার্জি।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ধারণা করছি হাসপাতালে ভর্তি পিনাকেশ্বরের পরিবারের তিন সদস্যের খাবারে চেতনানাশক জাতীয় কিছু মেশানো হয়েছিল। তাঁদের চিকিৎসা চলছে, তিনজনই আশঙ্কামুক্ত আছেন।’