মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে নিজ কর্মস্থল থেকে মোটরসাইকেলে বাসায় ফেরার সময় মো. সুজন (২৮) নামের এক বাংলাদেশি যুবক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। নিহত সুজন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। সুজনের মৃত্যুতে তাঁর গ্রামের বাড়িতে এখন শোকের মাতম চলছে।
আজ সোমবার দুপুরে প্রবাসী বাংলাদেশি সুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর বড় ভাই এনামুল হক। নিহত সুজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তোফাজ্জল হকের ছেলে। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে চতুর্থ ছিলেন সুজন।
তাঁর বড় ভাই এনামুল হক বলেন, জীবিকার সন্ধানে গত ৭ বছর আগে ওমানের ছালালা শহরে যায় সুজন। এরপর সেই দেশি এক মালিকের অধীনে কৃষি কাজ করত সে। গত সাত বছরে একবারও বাড়িতে আসেনি সুজন। আগামী কোরবানি ঈদে সে দেশের আসার কথা ছিল। দেশে আসার পর তাঁর বিয়ের দেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল পরিবারের।
এনামুল হক বলেন, স্থানীয় সময় গত শনিবার আছরের নামাজের পর মালিকের বাড়ির বাগান থেকে কাজ শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে বাসায় ফিরছিল সুজন। ছালালা শহরে নিজের বাসার কাছাকাছি পৌঁছালে একটি গাড়ি পেছন থেকে সুজনের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় সে। তাঁর মৃতদেহ স্থানীয় একটি হাসপাতালের হিমাগারে রাখা আছে।
এদিকে সুজনকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তার মা মরিয়ম নেছা। শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারের অন্য সদস্য, আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সুজনের মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন পরিবারের লোকজন।