ডলার ডলার ডলার! এই ডাক নতুন ক্রেতাদের জন্য। আর পুরোনো ক্রেতারা তো নামেই চেনেন বিক্রেতাদের। খোলা জায়গা, দোকান নাই, ঘর নাই অথচ প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয় গাছের নিচে। চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ জাদুঘরের সামনে আরগ চেম্বারের পার্শ্বেই ছোট্ট বাদাম গাছ তলায় বসে এই ডলারের হাট।
প্রায় অর্ধশত মানুষ এক শ গজের মধ্যে ঘোরাঘুরি করে ও কোনো নতুন লোক দেখলেই ডলার ডলার বলে ডাকাডাকি করে থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অনেক বছর থেকে চট্টগ্রামে এ ডলারের হাট বসে। প্রতিদিন কোটি টাকার ডলার বিক্রি হয় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে ছোট একটি বাদাম গাছের নিচে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডলার ব্যবসায়ী জানান, ডলারের ব্যবসা এখন অনেক মন্দা যাচ্ছে।
কি কারণে মন্দা যাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকার ফলে ডলার কম আসছে তাই চট্টগ্রামের ডলার ব্যবসা খারাপ। এ ছাড়া লকডাউনেও তাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
কোনো শেড নেই, শামিয়ানা নেই, দোকানও নয় তবু এভাবেই রাস্তার ওপর ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় চলছে কোটি টাকার ডলার কেনা বেচা, নগদ লেনদেন। এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী বলেন, অনেক বছর ধরেই করতেছি, কোনো সমস্যা হয় না।
ব্যাংক এশিয়ার সিডিএ অ্যাভিনিউ (জিইসি) শাখার ব্যবস্থাপক মো. বোরহান উদ্দিন খন্দকার আজকের পত্রিকাকে জানান, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি বাজার। এটাতে অনেক ঝুঁকি থাকে যেকোনো সময় গ্রাহক প্রতারিত হতে পারে।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড আগ্রাবাদ কমার্শিয়াল শাখার ব্যবস্থাপক মো. শাহ জাহান মুনির আজকের পত্রিকাকে বলেন, এভাবে ডলারের বাজার অনেক ঝুঁকি, সাধারণ মানুষ মানি এক্সচেঞ্জ বা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করছে না। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ একটি ব্যাপার। এটা বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট অথোরিটির কোনো ভূমিকা দেখা যায় না।
সম্পূর্ণ অবৈধ এই বাজারটি অনেক বছর ধরেই চলছে। এই বিষয়টি দেখভালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে এ বিষয়ে কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।