নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে চারটি ফিশিং ট্রলার জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। এসব ট্রলার গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করে মোকামে যাওয়ার সময় জব্দ করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন জব্দ করা ট্রলার প্রতি ১০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মাছ নিলামে বিক্রি করে দেন।
গতকাল সোমবার বিকেলে মাছ ধরার এসব ট্রলার হাতিয়ার নলচিরা ঘাটের উত্তর পাশে মেঘনা থেকে জব্দ করা হয়। এসব ট্রলারের মালিক ভোলার মনপুরা, লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। ট্রলারে থাকা ১৯ মণ ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ নিলামে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। জব্দ করা ট্রলারে থাকা ৭৯ জন মাঝিমাল্লাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র দাস ও কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা।
হাতিয়া কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীতে অভিযানে নামে কোস্টগার্ড। একপর্যায়ে সাগর থেকে মাছ ধরে মোকামে যাওয়ার সময় চারটি ট্রলারকে থামানো হয়। পরে ট্রলারগুলো থেকে সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যাওয়ায় তমরদ্দি কোস্টগার্ড ক্যাম্পে নিয়ে আসা যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন জানান, সমুদ্রে মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার গত ২০ মে থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। এই লক্ষ্যে সমুদ্রে অভিযানে নামে কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও সরকারের একাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।