কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেছেন, ‘আমরা কাদা-ছোড়াছুড়ি করতে করতে সময় নষ্ট করি। যদি কাদা-ছোড়াছুড়ি না করে গবেষণা নিয়ে কাজ করতাম তাহলে আমরা নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পারতাম। আমরা অনেকেই জানি না বিশ্ববিদ্যালয় মানে কী। একজন শিক্ষার্থীর কাজ একাডেমিক এক্সারসাইজ করা, একজন শিক্ষকের কাজ একাডেমিক এক্সারসাইজ করা।’
আজ শনিবার ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২২’ উদ্যাপনে প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত শোভাযাত্রার পর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় উপাচার্য এসব কথা বলেন। আজ ১৬তম বছর অতিক্রম করে ১৭তম বছরে পা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
উপাচার্য আরও বলেন, ‘অমুকের চামড়া তুলে নিব আমরা, এটা কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের কাজ হতে পারে না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সারসাইজ হবে আমরা কীভাবে জ্ঞান বাড়াতে পারি। আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন বিশ্বের দরবারে দাঁড়াতে পারে। আমি চাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই পরিবেশ তৈরি করার জন্য।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রেখেছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান। এ সময় সব বিভাগের শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভার আগে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। এরপর জাদুঘর পর্যন্ত ঘুরে শোভাযাত্রাটি মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। এরপর মুক্তমঞ্চে পায়রা অবমুক্ত করে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়। সর্বশেষ আয়োজনের অংশ হিসেবে কেক কাটা হয়।