নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরে হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আরও তিন আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে একই ঘটনায় আব্দুর রহিম সুজন (১৯) নামের এক আসামির জবানবন্দি নেওয়া হয়। গত শনিবার রাতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নবনীতা গুহ আসামিদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
জবানবন্দি দেওয়া আসামিরা হলেন—বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ছোট শরীফপুর গ্রামের কামরুল হাসানের ছেলে আরাফাত হোসেন আবির (১৯), হাজীপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল হক ভূঁইয়ার ছেলে ইব্রাহিম খলির রাজিব (২৪) ও চৌমুহনী পৌরসভার গণিপুর এলাকার জয়নাল আবেদিনের ছেলে রিপন আহম্মেদ মাহির (১৯)।
পুলিশ জানায়, মন্দিরে হামলার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার দিনব্যাপী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আবির, রাজিব ও মাহিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে চৌমুহনীতে হামলার ঘটনায় দায়ের করা ২৯ নম্বর মামলায় রাতে তাঁদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৩-এ হাজির করা হয়। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নবনীতা গুহ ১৬৪ ধারায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে বেগমগঞ্জের বিভিন্ন মন্দিরে হামলার ঘটনায় ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ, গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে চারজন আসামি হামলার ঘটনায় নিজেদের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনা তদন্তে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে একটি, চট্টগ্রাম ডিআইজি কার্যালয় থেকে একটি, জেলা পুলিশ থেকে একটি এবং জেলা প্রশাসক থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।