চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে এক রোহিঙ্গাও আছেন বলে দাবি করেছেন তাঁর স্বজনেরা। এখন পর্যন্ত নিহত ৪১ জনের মধ্যে ২৬ জনের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে। ১৫ জনের মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি। এ ছাড়া অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন রোহিঙ্গা আছেন বলে দাবি উঠেছে।
নিখোঁজ ওই রোহিঙ্গা নাগরিকের নাম মোহাম্মদ ফারুক। তিনি কনটেইনার ডিপোটিতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কায়েস। নিখোঁজ ভাইয়ের সন্ধানে আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন কায়েস।
আবুল কায়েস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ মাস ধরে আমার ভাই বিএম কনটেইনার ডিপোটিতে কাজ করছেন। আমরা পরিবার নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকি।’
কায়েসের দাবি ডিপোটিতে আরও অন্তত ২০ জন রোহিঙ্গা কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘ওরা (অন্যান্য রোহিঙ্গা) সবাই বেঁচে গেছে। আমার ভাই হারিয়ে গেছে। আগুন লাগার পর ভিডিও করে আমাদের আগুনের দৃশ্য দেখাইছিল আমার ভাই। কিন্তু রাত ১০টার পর তাঁর মোবাইল বন্ধ পাই। ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করা আরেকজনের সঙ্গে রোববার সকালে যোগাযোগ করি। সে বলেছে, আহত অবস্থায় ভাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখেছে। কিন্তু এরপর ভাইকে কোন ওয়ার্ডে নেওয়া হয়, সেটি সে জানতে পারেনি। পরে আমরা এসে হাসপাতালে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাইনি। একজন বলছে ফারুক নামের একজনকে আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। সে কি আমার ভাই কি না, জানি না।’
তবে ডিপোটিতে রোহিঙ্গারা কাজ করতেন কি না, জানা নেই বলে জানিয়েছেন ডিপোর মুখপাত্র মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকি। তিনি বলেন, ‘ডিপোতে রোহিঙ্গা কাজ করতেন এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
এই সম্পর্কিত সর্বশেষ: