জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকার ঘোষিত শিডিউল মাফিক লোডশেডিং না দিয়ে তিতাসে অতিরিক্ত লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। উপজেলাবাসীর দাবি, চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রতিদিন ১৪-১৬ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লা পল্লি বিদ্যুৎ-৩ এর আওতায় ৬টি উপজেলার মধ্যে এক মাত্র তিতাস উপজেলায় তুলনামূলকভাবে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে।
উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. শাজাহান মিয়া (৬০) বলেন, ‘জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু পার্শ্ববর্তী উপজেলার তুলনায় আমাদের তিতাসে অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। এতে করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে আমি মনে করি।’
তিতাস উপজেলার সাব জোনাল অফিসের এ জি এম গোলজার হোসেন বলেন, ‘তিতাসে বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে সাত থেকে আট মেগাওয়াট। আমাকে দিচ্ছে ২ থেকে ৩ মেগাওয়াট। এই বিদ্যুৎ আমাকে ৩টি ফিডারের মাধ্যমে ৭৬টি গ্রামে সরবরাহ করতে হচ্ছে। একটি ফিডার চালু করলে দুটি ফিডার বন্ধ রাখতে হয়। এ কারণে লোডশেডিং একটু বেশি হচ্ছে। ডিজেল চালিত পাওয়ার স্টেশনে জেনারেশন ১৪-১৫ হাজার মেগাওয়াটে নেমে এসেছে। ফলে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় ২০০০ মেগাওয়াট জেনারেশন কম হচ্ছে।’
কুমিল্লা পল্লি বিদ্যুৎ ৩ এর ডি জি এম টেকনিক্যাল সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘তিতাসে আরও একটি ফিডার স্থাপন করা হবে। এরই মধ্যে ডিজাইন সম্পূর্ণ করা হয়েছে। আশা করি নভেম্বর মাসে নতুন ফিডারটি স্থাপন করতে পারব।