সড়কপথে রাঙামাটি শহরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে উঁচু এক পাহাড়। নাম ফুরোমোন পাহাড়। কৌতূহলী পর্যটকেরা অ্যাডভেঞ্চার ট্যুর করেন ফুরোমোন পাহাড়ে। পায়ে হাঁটার শত কষ্ট পেরিয়ে পাহাড়চূড়ায় উঠলে শীতল বাতাস মনকে প্রফুল্ল করে। প্রাণে আনে প্রশান্তি। গাড়িতে করেও যাওয়া যায় ফুরোমোন পাহাড়চূড়ায়।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পাহাড়টির উচ্চতা প্রায় ১ হাজার ৫২০ ফুট। এই পাহাড়ে উঠলে অপরূপ সৌন্দর্যের দেখা মেলে। সূর্যাস্ত আর সূর্যোদয় দেখা যায় এই পাহাড় থেকে। দিনে প্রতিটি সময় বদলায় এর প্রাকৃতিক রূপ। ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্য অবলোকন করা যায় পাহাড় থেকে। পাখির চোখে দেখা মেলে পুরো রাঙামাটি শহর, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, রানীরহাট। হাতে ছুঁয়ে দেখা যায় মেঘ। তাই যে কাউকে মুগ্ধ করে ফুরোমোনের এই সৌন্দর্য।
রাঙামাটির বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের জন্য এখনো অজানা একটি স্থান এই ফুরোমোন। অনন্যসুন্দর ফুরোমোন পর্যটকদের নতুন দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠবে বলে জানান স্থানীয়রা।
এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও পাহাড়টিতে রয়েছে একটি বৌদ্ধবিহার। বনভান্তের অন্যতম শিষ্য ভৃগু মহাথের শিষ্যসংঘ নিয়ে এই বনবিহারে অবস্থান করেন। এই বিহারকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে আরও বিভিন্ন স্থাপনা, যা পর্যটনকে করেছে সমৃদ্ধ।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, ‘ফুরোমোনে যাওয়ার রাস্তাটি কার্পেটিং প্রকল্পের কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। কাজ শেষে হলে ফুরোমোন রাঙামাটির অন্যতম পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হবে। এর বাইরে আরও কী সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যায়, তার পরিকল্পনা নিচ্ছে জেলা পরিষদ।’
যেভাবে যাবেন ফুরোমোন
রাঙামাটি শহর থেকে বা মানিকছড়ি সাপছড়ি থেকে চাঁদের গাড়িতে বা সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে ফুরোমোনে যাওয়া যায়। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষ সাপছড়ি নাড়াইছড়ি হয়ে পায়ে হেঁটে ফুরোমোন পাহাড়ে উঠতে পারেন। যাওয়ার পথে পানি, খাবার নিয়ে নিলে ভালো হয়।