ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে একটি বেসরকারি হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় ইশতিয়াক আহমেদ ইকরাম (২২) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া মৃত্যুর পর তাঁকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে বলে মানববন্ধন দাবি করেছেন স্বজন ও সহপাঠীরা। এ ঘটনায় হাসপাতালের হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর হাসপাতালের মালিকের ভাইসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার সকালে জেলা শহরের আল খলিল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে।
ইশতিয়াক আহমেদ ইকরাম সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের চান্দিয়ারা গ্রামের শহীদ উদ্দিনে ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন হাসপাতাল মালিকের ভাই এমদাদুল বশির জয়, হাসপাতাল স্টাফ নাজমুল হক ও আরিফুল ইসলাম।
মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, ভুল চিকিৎসায় ইশতিয়াক অপারেশনের পরপরই মারা যান। তারপরও তাঁর লাশ আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। শুধু লোক দেখাতে এবং অতিরিক্ত বিল করার জন্য তাঁর লাশ আইসিইউতে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
মৃতের স্বজনেরা জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে ইশতিয়াককে নাকের পলিপাস অপারেশনের জন্য আল খলিল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এরপর দুপুরে তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পর তাঁর আর জ্ঞান ফেরেনি। পরে তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে আজ শনিবার সকালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ইশতিয়াকের চাচা অ্যাডভোকেট শামছুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ইশতিয়াকের অপারেশন করেছেন ডা. রাফিউল আলম। কিন্তু রাফিউল জানিয়েছেন তিনি অপারেশন করেননি। ইশতিয়াকের সঠিক চিকিৎসা হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে।’
তবে হাসপাতালের মালিক খলিল বশির মানিক দাবি করেন, ‘অপারেশন ডা. রাফিউল আলম করেছেন। তাঁর সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে।’
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় ইশতিয়াকের ভাই বাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে হাসপাতালের মালিক খলিল বশির মানিক, ইএনটি চিকিৎসক রাফিউল আলম ও অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ফৌজিয়া মমতাজ সুপ্তিকে আসামি করে মামলা দিয়েছেন।’