ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সুরাইয়া (ছদ্মনাম)। সবেমাত্র স্কুলে প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিকে ৬ম শ্রেণিতে উঠেছে। করোনার মহামারিতে স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়িতে হেসেখেলে দিন পার করছিল সে। এরই মাঝে বাল্যকালে তার বিয়ের আয়োজন করে পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার দুপুরে বরযাত্রী পৌঁছানোর আগেই আখাউড়া উপজেলার একটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে সেই নাবালিকার বিয়ে পণ্ড করে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)।
এ সময় ওই কিশোরীর বাবাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরিবারের কাছ থেকে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা নেওয়া হয়। পরে উপস্থিত সকলকে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করার সঙ্গে সঙ্গে বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটলে তাকে অবহিত করার অনুরোধ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তার বলেন, বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে সজীব মিয়ার (২৩) বিয়ের সঙ্গে ওই কিশোরীর বিয়ের আয়োজন করা হয় বলে খবর পাই। লকডাউনের কারণে আয়োজনটি অনেকটা গোপনে করা হয়। গোপন খবরের ভিত্তিতে ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে হাজির হয়। বরযাত্রী তখনো আসেনি। মেয়ের বাবাকে বিয়ের জিজ্ঞেস করলে তিনি বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করলে তাঁকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় । পাশাপাশি তাঁর কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয় আগামী ৫ বছরের আগে তিনি তাঁর মেয়ের বিয়ে দেবেন না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য সহিদ মিয়া, মহিলা ইউপি সদস্য সাফিয়া খাতুন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।