বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে লবণবাহী একাধিক নৌকাডুবির ঘটনায় ৩৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে আনোয়ারা উপকূলে লবণবোঝাই এসব নৌকা ঝড়ের কবলে পড়ে।
গহিরা বারো আউলিয়া নৌ পুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিখোঁজ অন্যদের উদ্ধারে কাজ করছে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের দল। তা ছাড়া ডুবে যাওয়া নৌকাগুলো উদ্ধারেরও চেষ্টা চলছে।
উদ্ধার মাঝিদের মধ্যে ১৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন কুতুবদিয়ার তৌফিক এলাহী নৌকার মাঝি মো. মানিক, নুরুল আমিন, মো. আনিস, বাঁশখালীর আল্লাহর দান নৌকার মাঝি মো. জিয়া, মোহাম্মদ আলী, মো. মানিক, মো. সোহেল, মো. মনছুর, জাবেদ আহমদ, বারো আউলিয়া নৌকার মাঝি মো. ফারুক, বদি আলম, আবু হানিফ ও আবু তৈয়ব।
নিখোঁজ বারো আউলিয়া নৌকার মালিক কুতুবদিয়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার নৌকাটি লবণ নিয়ে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম নগরীর দিকে যাচ্ছিল। কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে আরও ১৫-২০টি লবণবাহী নৌকা গহিরার বারো আউলিয়া উপকূলে সাগরে ডুবে যায়। আমার নৌকায় থাকা ছয়জনসহ ৩৪ জন মাঝিকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমার ২০ লাখ টাকা মূল্যের নৌকাটি ডুবে গেছে।’
আবুল কাশেম আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৮-১০টি নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো অন্তত ১০টি নৌকা ডুবে আছে। আশা করছি, এ ঘটনায় কেউ নিখোঁজ থাকবে না।’ ডুবে যাওয়া নৌকাগুলো উদ্ধারে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন তিনি।