রাঙামাটিতে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার। গতকাল শনিবার রাতে পাওয়া প্রতিবেদন মতে জেলায় ২১৯ জনের মধ্যে ৬৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৫১।
এর আগের দিন শুক্রবার ছিল ১৯ জন। সংক্রমণ হার ছিল ২৭ দশমিক শূন্য ৯। শনিবার আক্রান্তদের মধ্যে রাঙামাটি সদরের ৩৭ জন, কাউখালী উপজেলায় ১১ জন, কাপ্তাই ছয়জন, লংগদুতে ছয়জন, কাপ্তাইতে ছয়জন, রাজস্থলীতে তিনজন, নানিয়ারচরে দুজন, জুরাছড়িতে দুজন, বিলাইছড়ি ও বাঘাইছড়িতে একজন করে।
এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২২ জন। সর্বশেষ রোগীর মৃত্যু হয়েছিল ২৭ জুলাই বিলাইছড়ি উপজেলায়। এ পর্যন্ত জেলায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৬ হাজার ৫৬৯ জনের। এর মধ্যে পজিটিভ শনাক্ত হয় ২ হাজার ৮১৭ জন। এ হিসেবে জেলায় সামগ্রিক করোনা শনাক্তের হার ১৭ দশমিক শূন্য।
এ পর্যন্ত করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৪৯ হাজার ৮শ ৮৪ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৯ হাজার ১০৫ জন। বর্তমানে রাঙামাটি সরকারি কলেজে হাসপাতালের অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি হয়ে সেবা নিচ্ছে ১২ জন রোগী। বাকিরা ঘরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলা করোনা ফোকাল পারসন ডা. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা যারা ঘরে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের সব সময় খবর রাখছি। উপসর্গ পরিবর্তন হলে আমাদের জানানোর পরামর্শ দিচ্ছি। সে অনুযায়ী ওষুধ দিচ্ছি। তিনি বলেন উপসর্গ পরিবর্তন হলে আমাদের সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে। প্রথম যে ওষুধ দিয়েছি সেটার সঙ্গে আরও নতুন ওষুধ যোগ করতে হবে। প্রথম দেওয়া ওষুধের ওপর নির্ভর করে থাকলে হবে না। উপসর্গ পরিবর্তন হতে পারে, সে হিসেবে ওষুধেরও পরিবর্তন বা নতুন ওষুধ যোগ হবে। অক্সিজেন লেভেল মাপতে হবে। যার অক্সিজেন লেভেল কমে যাবে তাকে হাসপাতালে আসতে হবে। সে জন্য রাঙামাটির সবাইকে ০১৭৩০৩২৪৭৭৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।
তবে এ কথা সত্য নয় দাবি রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসার বলেন, মানুষ অনেক সচেতন। তারা উপসর্গ দেখা দিলে নমুনা দিতে আসছে। শুধু করোনা নয় অন্য যেকোনো রোগ অনুমান করে ওষুধ সেবন করা কিন্তু স্বাস্থ্যর জন্য ঝুঁকি। সে জন্য পরীক্ষা কারা অত্যন্ত জরুরি। সেটা আমরা মানুষকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। সে জন্য মানুষ নমুনা দিতে আসছে। ভ্যাকসিন নিতে প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছে। এতে করে বুঝা যায় মানুষ অনেক সচেতন।