সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ১৩ দিন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকার পর মারা গেলেন সেই রক্তিম সুশীল (৩৫)। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান তিনি।
জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় অনুপম সুশীল, নিরুপম সুশীল, দীপক সুশীল, চম্পক সুশীল ও স্মরণ সুশীল নিহত হন। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ওই দিন চমেকে ভর্তি হন রক্তিম সুশীল। তাঁর আইসিইউ সাপোর্টের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আইসিইউ খালি না থাকায় পরদিন ম্যাক্স হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে এক দিন রাখা হয়।
কিন্তু আর্থিক কষ্টে থাকা পরিবারটির বেসরকারি হাসপাতালের ব্যয় বহন করার সামর্থ্য ছিল না। এ জন্য আবার তাঁকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে দুই দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর চমেকে নিয়ে আসা হয়।
রক্তিম সুশীলের বাবা সুরেশ চন্দ্র গত ৩০ জানুয়ারি মারা যান। সুরেশের মৃত্যুর ১০ দিন পূর্ণ হওয়ায় ৮ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে সুরেশের ছেলেমেয়েরা বাড়িতে এসেছিলেন। বাবার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনায় ছয় সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা মানু রানী। রক্তিম সুশীলদের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা এলাকায়। তাঁর তিন বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে।
চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজিব পালিত আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিকিৎসকেরা এই ১০ দিন অনেক চেষ্টা করেছেন, কিন্তু সব মিথ্যা করে দিয়ে রক্তিম সুশীল চলে গেলেন।