কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সদ্য বিলুপ্ত ছাত্রলীগ কমিটির তিন নেতাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় ছাত্রদল নেতা রনি মজুমদার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সেক্রেটারি বিপ্লব দাস তাঁর অনুসারী নিয়ে এই মারধর করেন। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পাকিস্তানি মসজিদের পাশে মারধরের ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার তিন ছাত্রলীগ নেতা হলেন—কুবির শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, সহসভাপতি সাইদুল ইসলাম রোহান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এনায়েত উল্লাহ ও সালমান চৌধুরী এবং সাইদুল ইসলাম রোহানকে ডেকে নিয়ে কয়েকজন মারধর করে। এরপর হলের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে আন্দোলন করে। এ সময় তারা প্রক্টর এ ঘটনায় জড়িত আছে জানিয়ে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করে।
এরপর বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-চট্টগ্রামের বেলতলী বিশ্বরোড এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে। ফলে দুই পাশে সড়কে বিরাট যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় দেড় ঘন্টা অবরোধের পর কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান এসে জড়িতদের শাস্তির আশ্বাস দিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
মারধরের বিষয়ে জানার জন্য রনি মজুমদারের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় সম্পৃক্ত নই। এর আগে এনায়েতের সঙ্গে স্থানীয়দের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তারাই এই হামলা করেছে।’
এ বিষয়ে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা জানার সঙ্গে সঙ্গে এখানে এসেছি এবং দ্রুত পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। এখানে এনায়েতকে যারা মেরেছে তারা কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না।’
এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি এবং ঘটনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’