চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটির দাবিতে ক্যাম্পাসে ডাকা অবরোধের তুলে নিয়েছেন নেতা-কর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়ে তাঁরা অবরোধের ডাক দেয়। এ সময় টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন নেতা কর্মীরা। পরে কেন্দ্রের আশ্বাসে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেন।
নেতা কর্মীদের দাবি, একবছর মেয়াদের এই কমিটির চার বছর হয়েছে, তাই এটি অবৈধ কমিটি। দীর্ঘদিন এই কমিটি থাকায় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক গতিশীলতা কমে গেছে। তাই তারা এই কমিটির বিলুপ্তি চান।
আন্দোলনরত গ্রুপ দুইটি হচ্ছে বিজয় ও ভিএক্স। এদের মধ্যে বিজয় গ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের এবং ভিএক্স গ্রুপ সাবেক সিটি মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই শাখা ছাত্রলীগের দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটিতে পরিসংখ্যান বিভাগের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের রেজাউল হক রুবেলকে সভাপতি ও মার্কেটিং বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ইকবাল হোসেন টিপুকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এদের মধ্যে রুবেল কমিটি গঠনের ছয় বছর আগে ২০১৩ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করেন।
অন্যদিকে টিপু স্নাতক শেষ করেছেন কমিটি গঠনের তিন বছর আগে ২০১৬ সালে। এরপর তিনি স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেননি। তবে ছাত্রত্ব না থাকলেও দুইজনই একটি করে কক্ষ দখল করে আবাসিক হলে থাকছেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে দুই সদস্যের এই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়।
পরদিন সকালে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে অর্ধশতাধিক অছাত্র, বিবাহিত, বিতর্কিত ও চাকরিজীবী রয়েছে দাবি করে কমিটি পুনরায় গঠনের দাবিতে অর্নির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেয় পদবঞ্চিতরা। এ সময় ৩৫ ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয় অচল থাকে।
নেতা কর্মীদের অভিযোগ, চার বছরে একটি বর্ধিত সভা করতে পারেনি এই কমিটি। হল ও অনুষদ কমিটির আশ্বাস দিয়ে পার করছে বছরের পর বছর।
ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় আজকের পত্রিকাকে বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন কমিটির বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। তাই আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছি।
ক্যাম্পাসের আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদারকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।