চট্টগ্রামের রাউজানে উদ্বোধনের আগেই ধসে গেছে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর সুরক্ষা ব্লক। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের স্রোতে সুরক্ষা ব্লক ধসে গেছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণকাজ মজবুত না হওয়ায় সেতুটির সুরক্ষা ব্লক ধসে গেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জান গেছে, আইলীখিল গ্রামে ডাবুয়া খালের ওপর ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৭১ হাজার ২০৯ টাকা ব্যয়ে ৩৮ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটির নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিদার অ্যান্ড মাজেদা এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু করে। ২০২২ সালের শেষের দিকে নির্মাণকাজ শেষ হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর দুই পাশে গোড়ার সুরক্ষা ব্লক ধসে গেছে। শুধু সেতুর সুরক্ষা ব্লক নয়, সংযোগ সড়কের বালু সরে ফাটলও দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, ‘সেতুর গোড়ার সুরক্ষা কাজ মজবুত হয়নি। এ কারণে পানির স্রোতে ধসে গেছে।
দিদার অ্যান্ড মাজেদা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাসান মো. রাশেদ বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে কাজ হয়েছে। প্রকৌশলী ব্যতীত কেউ যদি বলে নিম্নমানের কাজ হয়েছে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। কৃষিনির্ভর এলাকা হওয়ায় জনস্বার্থে সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে কাজ করেছি। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতে সৃষ্ট বন্যায় গোড়ার ক্ষতি হয়েছে। সেতুর কোনো ক্ষতি হয়নি। যেহেতু প্রাকৃতিক দুর্যোগ সেহেতু কারও হাত নেই।’
নিম্নমানের কাজের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এই প্রকৌশলী বলেন, কাজ ভালো হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ভালো মানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কাজ করেছেন। বন্যার কারণেই সেতুটির সুরক্ষা ব্লক ধসে গেছে। ওই সেতুর গোড়া ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন সড়ক, সেতু, কালভার্ট মিলে শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।