হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

চারদিনে তেলবাহী ২ জাহাজে অগ্নিকাণ্ড, নাশকতা বলছে বিএসসি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরে চার দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ নামের আরেকটি ট্যাংকারে অগ্নিকাণ্ড ঘটল। গতকাল শুক্রবার রাতের এ ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলতে নারাজ বিএসসি। 

কর্তৃপক্ষের দাবি, দুর্ঘটনার আগে একটি নৌযান বা স্পিডবোট ট্যাংকারটির পাশ দিয়ে ছুটে যায়। এরপরই চারটি জায়গায় স্ফুলিঙ্গ হয়। এটি নাশকতা। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

গতকাল শুক্রবার ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ নামে ওই ট্যাংকারে বিস্ফোরণ হয়। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচেন ৪৭ জন। তবে ট্যাংকারের যেখানে জ্বালানি তেল রয়েছে, সেখানে আগুন লাগেনি বলে জানায় বিএসসি। 

এর আগে গত সোমবার বন্দরের ডলফিন অয়েল জেটিতে নোঙর করে রাখা বিএসসির ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’ নামের একটি ট্যাংকারে বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পুড়ে মারা যান তিনজন। 

এমটি বাংলার সৌরভে দুর্ঘটনায় নিহত নাবিকের নাম সাদেক মিয়া (৫৯)। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীতে। 

আজ শনিবার বিএসসির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক জানান, জাতীয় জ্বালানি খাতকে হুমকিতে ফেলতে এমটি বাংলার সৌরভে আগুন লাগানো হয়েছে। দুর্ঘটনার আগে একটি নৌযান বা স্পিডবোট ট্যাংকারটির পাশ দিয়ে ছুটে যায়। এরপরই চারটি জায়গায় স্ফুলিঙ্গ হয়। আগুন লাগলে একটি পয়েন্ট দিয়ে আগুন লাগে, কিন্তু শুক্রবার ওই ট্যাংকারে চারটি পয়েন্ট দিয়ে একযোগে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতেই বুঝা যায় এটি নাশকতার অংশ। 

তিনি বলেন, ঘটনা তদন্ত করতে ৮ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশেপাশের সিসিক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে ওই স্পিডবোট শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। 

মাহমুদুল মালেক আরও বলেন, দুটি ট্যাংকারই জ্বালানি তেল পরিবহনের কাজ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এমটি বাংলার সৌরভের এটি ছিল শেষবারের মতো জ্বালানি তেল পরিবহন। দুর্ঘটনার সময় ট্যাংকারটিতে ১১ হাজার ১৫৫ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ছিল। আজ এটি বন্দরের ডলফিন অয়েল জেটিতে নিয়ে তেল খালাস করার কথা ছিল। তার আগেই ট্যাংকারটির ডেকে চারটি জায়গায় স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। এরপরই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

জীবন বাঁচাতে সমুদ্রে ঝাপ 
রাত ১২টার দিকে ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ যখন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল নিয়ে নোঙর করেছিল তখন জাহাজে থাকা ক্রু ও কর্মচারীসহ ৪৮ নাবিক ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ, সঙ্গে সঙ্গেই জরুরি ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠে। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে ছুটাছুটি করতে থাকেন তাঁরা। আগুনের ভয়াবহতা দেখে সমুদ্রে ঝাঁপ দেন তাঁরা। 

দুর্ঘটনার পর নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন্দরের টাগবোট দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের কারণে ৪৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ট্যাংকারের যেখানে জ্বালানি তেল রয়েছে, সেখানে আগুন লাগেনি। এখন ট্যাংকারটি থেকে জ্বালানি তেল স্থানান্তর করে কীভাবে উদ্ধার করা যায়, সে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। 

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম কার্যালয়ের মোবিলাইজিং অফিসার কফিল উদ্দিন বলেন, উদ্ধারকারী দল পৌঁছানোর আগেই নাবিকদের কয়েকজন সাগরে লাফিয়ে পড়েন। নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা উদ্ধার করেন জাহাজের ৪৮ জন নাবিককে। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদেক নামের এক নাবিকের মৃত্যু হয়। 

এমটি বাংলার সৌরভ ১৯৮৭ সালে ডেনমার্কে নির্মিত হয়। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ বড় ট্যাংকার থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে পতেঙ্গার বিভিন্ন ডিপোতে নিয়ে আসে।

বাসার দরজা ভেঙে চবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

একমঞ্চে ৬১ চিকিৎসা গবেষণাপত্র উপস্থাপন

চবির শাটলে বসা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, শিক্ষার্থীকে মারধর

রাউজানে ৪টি ইটভাটার চিমনি গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা, একজন বলছিলেন—‘গুলি কর’

পার্বত্য চুক্তির বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে গ্রেপ্তার আইনজীবী জামিনে মুক্ত

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারার প্রতিবাদে দিনে লাল পতাকা, রাতে মশাল মিছিল

চমেক হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে অর্ধদিবস কর্মবিরতি

পার্টির পেছনে ইসলাম থাকলে, সেটা ইসলাম হয়ে যায় না: সালাহউদ্দিন আহমদ

সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চলাচলের দ্বিতীয় দিনেও কোটার ৮০০ কম পর্যটক