কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালীতে সরকারি সেচ প্রকল্প নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রকাশ্যে বাজারে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় মোর্শেদ আলীকে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা আলালসহ দলের ৭ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মাহমুদুল করিম ও তিন যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, সৈয়দ রেজাউর রহমান ও টিপু সুলতান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সিরাজুল মোস্তফা আলাল, জয়নাল আবেদীন হাজারী, আবু তাহের ও আবদুল মালেক দলের স্ব স্ব পদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান জানান, বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে আলোচিত মুর্শেদ আলী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। তাঁদের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
এ দিকে, একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সদর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আবদুল মালেক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আক্কাস উদ্দিন ও পিএমখালী ইউনিয়ন সভাপতি আরিফকে স্ব স্ব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমেদ বাহাদুর তাঁদের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত জানান। তিনি জানান, মোর্শেদ আলী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পিএমখালীর চেরাংঘর বাজার এলাকায় অভিযুক্তরা মোর্শেদ আলীকে রাস্তায় ফেলে লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে পেটায়। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল মোস্তফা আলাল ঘোষণা দেন, ‘তাঁকে ওপরের নির্দেশে মেরে ফেলা হচ্ছে, কেউ কাছে আসবে না।’
মোর্শেদ আলী পিএমখালী ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার মৃত ওমর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় গত শনিবার বিকেলে নিহতের ভাই জাহেদ আলী বাদী হয়ে সিরাজুল মোস্তফা আলালসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।