মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে লড়াইয়ে ঠিকতে না পেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৮৮ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আজ রোববার ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অস্ত্রসহ তাঁরা প্রবেশ করেন। তাঁদের নিরস্ত্রীকরণ করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বিজিপি সদস্যের আশ্রয় গ্রহণের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সীমান্তের সূত্রে জানা গেছে, রাখাইনের মংডু শহরের অদূরে বিজিপির একটি বড় ঘাঁটি দখলে নিয়েছে আরকান আর্মি। সেখানে সংঘাতের জেরে আজ রোববার সকালে টেকনাফের নাফ নদীর দুটি পয়েন্ট দিয়ে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ ৮৮ জন বিজিপির সদস্য আসেন। তাঁরা সাবরাং ইউনিয়নের আচারবুনিয়া ও নাজিরপাড়া পয়েন্ট দিয়ে কাঠের নৌকায় বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকলে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা তাঁদের আটক করেন। পরে তাঁদের নিরস্ত্রীকরণ করে বিকেলে বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
হ্নীলা উচ্চবিদ্যালয়ে নিয়ে তাঁদের রাখা হয়েছে। এর আগে গতকাল শনিবার নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বিজিপির ৪০ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
এ ছাড়া কয়েক দফায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সেনা, বিজিপি ও ইমিগ্রেশন শাখার ৬১৮ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গত ২৫ এপ্রিল কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট দিয়ে ২৮৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনাসদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। এ ছাড়া গত ১৫ ফেব্রুয়ারি উখিয়ার ইনানী জেটিঘাট দিয়ে ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে একইভাবে ফেরত পাঠানো হয়।