লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজের পরদিন ফসলি খেত থেকে নুর নাহার বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহবধূর পরিবারের দাবি, তাঁকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের হাতেম আলীর সাঁকো এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নুর নাহার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের বালুরটেক এলাকার পান ব্যবসায়ী উলফত মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশও স্থানীয়রা জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে নুর নাহার নিখোঁজ ছিলেন। রাতে বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। সকালে তাঁর লাশ একটি ফসলি খেতে পড়ে আছে বলে খবর আসে। তিনি সুদে মানুষকে টাকা ধার দিতেন এবং জমি নিয়েও বিরোধ চলছিল। টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করেই কেউ হয়তো তাঁকে হত্যা করেছে। পর লাশ হাতেম আলীর সাঁকো এলাকায় ফসলি খেতে ফেলে রেখে গেছে।
স্থানীয়রা খেতের আইলের পাশে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে স্বজনেরা এসে লাশটি শনাক্ত করে। নুর নাহারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, বোরকা পরিহিত অবস্থায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।