ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ হাজার দেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে নাসিরনগর থানার পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল শনিবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এরপর শনিবার দুপুরে স্থানীয় কামারদের নিয়ে আলোচনা সভা করেন ওসি। এ সময় কামার পেশায় যাঁরা জড়িত আছেন, তাঁরা যেন প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো লোহার অস্ত্র তৈরি না করেন, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।
যাঁরাই দেশীয় অস্ত্র বানাতে আসবেন, তাঁদের নাম-ঠিকানা রেখে পুলিশকে জানাতে বলা হয়। এতে একমত হন কামারেরা।
অস্ত্র উদ্ধার ও কামারদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার।
নাসিরনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে নাসিরনগরে বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় কয়েক হাজার লোক আহত হয় এবং বেশ কয়েকজন নিহত হয়। সম্প্রতি ঈদের দিন ভলাকুট ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রামে ধান মাড়াইয়ের জন্য ব্যবহৃত খাস জায়গা দখল নিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হন। এরপর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে নাসিরনগর থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন।
হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘আমাদের গ্রামে প্রায় সময়ই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারামারি হয়। পুলিশ আমাদের কাছে অস্ত্র উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়েছে। আমরা গ্রামবাসীকে নিয়ে আলোচনা করে সকল দেশীয় অস্ত্র পুলিশের হাতে জমা করে দিয়েছি।’
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ‘এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমাদের এসপি স্যারের নির্দেশে আমরা এ অভিযান শুরু করেছি। আমরা যে সকল অস্ত্র উদ্ধার করছি মারামারির সময় সেগুলো ব্যবহারের ফলে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। হাতের কাছে অস্ত্র না থাকলে মারামারির প্রবণতা কমে আসবে।’ কামারদের দেশীয় অস্ত্র না বানানোর বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।