ফেনীর পরশুরামে কোরবানি পশুর চামড়ার আশানুরূপ দাম না পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা পাওয়া যায়নি মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। পরে কেউ কেউ নামমাত্র মূল্যে চামড়া বিক্রি করে দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মাদ্রাসায় দিয়ে দেন।
উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান ভুট্টো বলেন, ‘আমার ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা কোরবানি পশুর চামড়া বিক্রি করেছি মাত্র দেড় শ টাকা। এর চেয়ে বেশি দাম দিতে রাজি হননি স্থানীয় মৌসুমি ব্যবসায়ী।’
উপজেলা বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল গফুর জানান, তিনি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের গরু কোরবানি দিয়েছেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরে একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী তাঁর গরুর চামড়া দেড় শ টাকা দাম বললে চামড়া বিক্রি না করে মাদ্রাসায় দিয়ে দেন।
সত্যনগর গ্রামের বাসিন্দা ও পরশুরাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু ইউসুফ মিন্টু জানান, তাঁরা শরিকে কোরবানির জন্য ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনেছেন। আজ সকাল থেকে চামড়ার কোনো ক্রেতা না পেয়ে দুপুরের দিকে দেড় শ টাকার দরে বিক্রি করে দিয়েছেন।
চিথলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম শফিকুল হোসেন মহিম জানান, তিনি ১ লাখ ২০ হাজার টাকার গরুর চামড়া বিক্রি করেছেন মাত্র ১০০ টাকায়।
শফিকুল আরও বলেন, ‘পরশুরামে ১০০ থেকে ১৫০ টাকার ওপরে কোনো চামড়া বিক্রি হয়নি।’
পরশুরাম বাজারের মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী মোহাম্মদ তহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি পরশুরাম, মির্জানগরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট-বড় সাইজের আড়াই শ চামড়া কিনেছেন সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা। তবে বেশির ভাগ ১০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছি।’
তহিদুল বলেন, ‘গ্রাম থেকে ঘুরে ঘুরে ১০ জন শ্রমিক দিয়ে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দরে চামড়া কিনেছি।’ প্রতি শ্রমিকের বেতন ২ হাজার টাকা কাঁচা চামড়ায় লবণ যুক্ত করা এবং পরিবহন খরচ মিলিয়ে চামড়ায় তিনি লোকসানের আশঙ্কা করছেন। এখন পর্যন্ত চামড়া ব্যাপারীরা গড়ে ২০০ টাকা করে বলে চলে গেছেন বলে জানান তিনি।