নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় এক গৃহবধূকে (২৭) দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর করা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকালে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আর ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের পশ্চিম কাজীরখিল গ্রামের হুমায়ন কবির (৩০) এবং একই গ্রামের সোহেল (২৯)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী প্রবাসী। তিনি দুই সন্তান নিয়ে বাড়িতে একা থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের হুমায়ন কবির ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। প্রতিদিন নানাভাবে তাঁকে উত্ত্যক্তও করতেন হুমায়ন। কিন্তু তাঁর প্রস্তাবে গৃহবধূ রাজি না হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
এর জেরে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ওই গৃহবধূ বাথরুমে যেতে ঘর থেকে বের হন। তখন বাড়ির পাশে ওত পেতে থাকা হুমায়ন ও তাঁর তিন সঙ্গী গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। এ সময় গৃহবধূর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যান ধর্ষকেরা।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী জানান, দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় ইতিমধ্যে দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভুক্তভোগীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।