শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রের প্রেম ছিল একই ইনস্টিটিউটের এক মেয়ের সঙ্গে। সম্প্রতি তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হলে মেয়েটি নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে চট্টগ্রাম কলেজের আরেক ছাত্রের সঙ্গে। প্রেমিকার পরীক্ষা থাকায় নতুন প্রেমিক তাঁকে নিতে আসে ক্যাম্পাসে। আর এই সুযোগে পুরোনো প্রেমিক দুই বন্ধুর সহযোগিতায় নতুন প্রেমিককে অপহরণ করে টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। ঘটনাটি কোনো সিনেমার কাহিনি মনে হলেও এটিই ঘটেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট এলাকা থেকে মেয়েটির পুরোনো প্রেমিক শহীদুল ইসলাম নতুন প্রেমিক আব্দুল করিমকে অপহরণ করে। পরে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল পাহাড় এলাকায় আটকে রেখে মোবাইল, নগদ টাকা ও বিকাশের টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা খবর পেয়ে তাদের পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে।
অপহরণকারী পুরোনো প্রেমিক শহীদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তাঁর সঙ্গে অপহরণে অংশ নেওয়া অপর দুজন হলো স্থানীয় বাসিন্দা হাবিব নয়ন ও শ্রাবণ। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলগেট এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. হানিফের অনুসারী বলে পরিচিত। হানিফের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছ কাটার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
অন্যদিকে নতুন প্রেমিক আব্দুল করিম চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র। এ ছাড়া সে অনলাইনে একটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শহিদুল ইসলাম নামের এক ছেলের সঙ্গে একই ইনস্টিটিউটের একটা মেয়ের রিলেশন ছিল। তাদের ব্রেকআপ হলে মেয়েটা অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। আজ মেয়েটির পরীক্ষা থাকায় ছেলেটি তাঁকে নিতে আসলে শহীদ স্থানীয় দুজনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁকে অপহরণ করে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে মেয়েটি আমাদের খবর দিলে আমরা তাঁকে উদ্ধার করি এবং অপহরণকারী তিনজনকে আটক করি।
প্রক্টর বলেন, শহীদ নিজেকে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি পরিচয় দিলেও দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারি তা অস্বীকার করেছে। আমরা তাদের পরিবারকে খবর দিয়েছি।