বান্দরবানে বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীর চোখ বেঁধে রেখে স্বামীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার জামছড়ি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন হেডম্যানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম শৈচিং মং মারমা (৪০)। তাঁর গ্রামের বাড়ি জেলার লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দরদরী নোয়াপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের খ্যুদু মারমার ছেলে।
খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, শৈচিং মং মারমার স্ত্রী উমেনু মারমার কাছে তাঁরা হত্যাকাণ্ডের খবর পান। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা শৈচিংয়ের গলাকাটা লাশ দেখতে পান।
উমেনু মারমা জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তাঁর স্বামী ঘরের বাইরে যান। বাইরে থেকে তিনি যখন ঘরে ফেরেন তখন তাঁর পিছু পিছু মুখোশপরা তিন ব্যক্তি ঘরে ঢুকে পড়ে। এরপর তাঁরা উমেনুর চোখ বেঁধে দেন এবং শৈচিংয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। উমেনু জানান, চোখ বাঁধা থাকায় তিনি কিছু দেখতে পাননি। তবে আওয়াজ শুনেছেন। তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে ভয়ে পাশের ঘরে চলে যান।
জামছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যচিংশৈ মারমা বলেন, শৈচিং কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা স্থানীয় সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাঁর সঙ্গে কারও বিরোধ নেই। তারপরও কারা তাঁকে এভাবে হত্যা করল, তা বুঝতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেন ক্যচিংশৈ।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তা জানতে আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।