নোয়াখালীর হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ ওরফে পিচ্চি আজাদের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, জালিয়াতিসহ অন্তত ৩০টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার পরও তিনি প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন—এমন অভিযোগ তুলে তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনের প্রধান সড়কে চরঈশ্বর ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় মৎস্যজীবী, কাঁকড়া ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মৎস্য ব্যবসায়ী রিপন চন্দ্র দাস, আকতার হোসেন কিরণ, মো. খবির উদ্দিন ও শরীফুল ইসলাম দুখুসহ অনেকে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ ৫ আগস্টের পরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলেও সম্প্রতি আবার ফিরে এসে ‘ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েম করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে এত মামলা ও অভিযোগ থাকলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
তাঁদের অভিযোগ, চরঈশ্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাছঘাট থেকে তাঁর অনুসারীরা নিয়মিত চাঁদা তুলছেন। মাছঘাট তৈরির নামে প্রতিটি ঘাটের ভিটি ৩ লাখ টাকার বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে কম দামে পণ্য বিক্রিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
মানববন্ধনে আরও বলা হয়, বর্তমান ইউপি সদস্য রাশেদ মেম্বারের খামারের গরু ও মৎস্য প্রকল্পের মাছ লুট করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে। তিনি জমির বন্দোবস্তসংক্রান্ত জাল কাগজ তৈরি করে বিক্রির সঙ্গেও জড়িত বলে দাবি করেন বক্তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বা প্রশাসনের কোনো পক্ষের বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আবদুল হালিম আজাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে, সেগুলো খতিয়ে দেখে দ্রুত তাঁকে গ্রেপ্তার করা না হলে পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে উঠতে পারে।