চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট) আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন বিএনপির চার বিদ্রোহী নেতা। তবে ফরম সংগ্রহ করলেও জমা দেওয়ার শেষ দিন সোমবার পর্যন্ত তা জমা দেননি তাঁরা। ফলে এই আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে থাকছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি মো. আমিনুল ইসলাম। এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনোনীত এক প্রার্থীও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করেননি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ১০ প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও জমা দিয়েছেন ৫ জন।
মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়া বিএনপি নেতারা হলেন বুয়েটের আহসানুল্লাহ হল সংসদের সাবেক ভিপি ও সাবেক ছাত্রনেতা ইঞ্জিনিয়ার ইমদাদুল হক মাসুদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম তুহিন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মাসউদা আফরোজ হক শুচি ও বিএনপি নেতা সাহাফুজ আলম অপু। এ ছাড়াও এনসিপি মনোনীত প্রার্থী ও এনসিপির জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নাজমুল হুদা খান রুবেল মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
এই আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, বিএনপির প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ড. মিজানুর রহমান, জাতীয় পার্টির মুহা. খুরশিদ আলম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মো. সাদেকুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের মো. ইব্রাহিম খলিল।
দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মাসউদা আফরোজ হক শুচি বলেন, ‘দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনা থেকেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত যেহেতু পরিবর্তন হয়নি, তাই মনোনয়নপত্র জমা দিইনি।’
মনোনয়ন না পাওয়া আরেক বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইমদাদুল হক মাসুদ বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন হয়নি, তাই মনোনয়নপত্র জমা দিইনি।’
এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বদলের দাবিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্য নেতারা এককাট্টা হয়ে অন্তত ১২ বার মশাল মিছিল, মতবিনিময় ও আলোচনা সভা, রেলপথ অবরোধ করেন।