হোম > সারা দেশ > বগুড়া

২ মাস বাড়িছাড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নেতা, এবার ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়া শেরপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে এক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নেতা এবং বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য দুই মাস ধরে ঘরছাড়া। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর অবর্তমানে জমি থেকে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। 

এর আগে তাঁর পুকুর থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন মাছ তুলে নেয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ তাঁর। 

উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের গোমড়তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওই নেতার নাম সন্তোষ কুমার সরকার। তিনি বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়ন ভবানীপুর ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি। এ ছাড়া তিনি ওই ইউনিয়ন ইউপি সদস্য। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে সন্তোষ কুমার সরকার সরকারি ওই খাসজমি ভোগ দখল করে আসছিলেন। এবার তিনি জমিতে ধান লাগিয়েছেন। আজ সকাল ৮টার দিকে প্রায় ১৭ জন শ্রমিক ধান কাটতে আসেন। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় কিছু লোকজন ছিলেন। 

তাঁরা রামদা, হাঁসুয়া, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পাহারায় ছিলেন। প্রায় ১২টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে তাঁরা সন্তোষ কুমারের জমির ধান কেটে নিয়ে যান। আতঙ্কে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। 

সন্তোষ কুমার সরকার মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় দুই মাস আগে স্থানীয় এই গোষ্ঠী আমার দখলে থাকা সরকারি পুকুর থেকে মাছ তুলে নিয়ে যায়। তখন বাড়িতে হামলা ও আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাইনি। ওই পক্ষ বাড়িতে মারধর করতে আসে। এর পর থেকে আমি সপরিবারে গ্রামছাড়া।’ 

সন্তোষ কুমার সরকার বলেন, ‘আজ আমার তিন বিঘা জমির ধান কাটার খবর পেয়ে পুলিশকে জানাই। কিন্তু ধান কাটা শেষ হলে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়েছে। এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’ 

সন্তোষ কুমার সরকার আরও বলেন, তিনিসহ তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও ছেলের বউ এখন গ্রামে থাকেন না। কেবল তাঁর বৃদ্ধ মা বাড়িতে থাকেন। 

আম্বইল গ্রামের হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ওই জমিটি আমার নিজস্ব। আমার নামে নামজারি, রেকর্ড, খাজনা পরিশোধ সবকিছুই আছে। সন্তোষ সেটি জোরপূর্বক দখল করেছে। তাই আমি আমার লোকজন দিয়ে ধান কেটে নিয়েছি।’ 

শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রকিব হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে অনুসন্ধান করে ধানগুলো পুলিশের জিম্মায় নেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তির প্রথমবার লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে বাড়ি ফিরে আসার জন্য বলা হয়। কিন্তু তিনি তখন আসেননি।’

এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। এ-সংক্রান্ত পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।’

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

মহাসড়কে ছিনতাইকালে হাঁসুয়াসহ গ্রেপ্তার ১

শেরপুরে আমনের বাজারদরে হতাশ কৃষক

শেরপুরে জাল টাকার কারবারি চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

চার দিন ধরে শিবির কর্মী আসাদুল্লাহ নিখোঁজ, পরিবারের উদ্বেগ

বগুড়ায় সাঁজোয়া কোরের সম্মেলনে সেনাপ্রধান

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে থানায় স্বামী

স্কুলব্যাগে ৪ কেজি গাঁজা, দুই কারবারি গ্রেপ্তার

বগুড়ায় বিছানায় দুই শিশুসন্তানের রক্তাক্ত লাশ, গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছিল মা

নিলামে নির্ধারিত পরিমাণের অতিরিক্ত বালু বিক্রি বন্ধ