বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে এবার তাঁর বাসভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। তবে এ সময় উপাচার্য তাঁর বাসভবনে উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিভিন্ন প্রতিবাদী গানের পাশাপাশি উপাচার্যবিরোধী বক্তব্যও দেন তাঁরা। পরে তাঁর বাসভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে ফুল গুঁজে দেন আন্দোলনকারীরা। এতেও যদি ভিসি পদত্যাগ না করেন বা অপসারণ না হন, তাহলে উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, ‘আমাদের এক দফা দাবিতে উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে আসছি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছি। অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক সব দপ্তর বন্ধ করে দিয়েছি। একই সঙ্গে বুধবার ভিসির বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি। আমরা আশা করছি নতুন উপাচার্য এসে এ বাসভবন ও প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলবেন। ভিসির বাসভবন থেকে সবাইকে বের করে তালার পাশাপাশি ফুলও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বাসভবনে ড. শুচিতার মতো কোনো স্বৈরাচারের ছায়া যেন না থাকে।’
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন তালা ঝুলিয়েছেন। ভিসি অপসারিত না হলে বাসভবনের বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট লাইন বিচ্ছিন্ন করা হবে।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের ২২ দফা দাবি পূরণে ব্যর্থতা, চিকিৎসার অভাবে মারা যাওয়া শিক্ষার্থীকে অর্থ সহায়তা না দেওয়া, ক্যাম্পাসে ফ্যাসিবাদের দোসরদের লালন, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য ড. শুচিতার অপসারণ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, ১৯ দিন ধরে ববি উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। এ নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত বসেননি ভিসি। উল্টো আন্দোলন দমনে করেছেন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা। এর জেরে ৫ মে রোববার থেকে শিক্ষার্থীরা ফুঁসে উঠে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এক দফা ঘোষণা দেন।